২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার দিনাজপুর সদর উপজেলা কৃষি হলরুমে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পল্লীশ্রী’র বাস্তবায়নে এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন-ঢাকার সহযোগিতায় ‘সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন এন্ড পাবলিক অথরিটিস আর স্ট্রেন দেন্থ টু প্রজেক্ট এন্ড প্রমোট রাইটস্ অফ মারজিনালাইজড ওমেন (ইসিএসএপি) প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে নারী ক্লাবের নেতৃবৃন্দের ডায়লগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পল্লীশ্রী’র প্রজেক্ট ম্যানেজার সেলিম রেজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ হাফিজুর ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার আসাদুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসিএম এপি প্রকল্পের ফোকাল পারসন শামীমা বেগম পপি। শুভেচ্ছা বক্তব্য ও সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী রওনক আরা হক। ডায়লগ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ১নং চেহেলগাজী ইউনিয়ন, ৩নং ফাজিলপুর ইউনিয়ন, ৪নং শেখপুরা ইউনিয়ন ও দিনাজপুর পৌরসভার নারী ক্লাবের নেতৃবৃন্দের পক্ষে বিভিন্ন বিষয় তুলে জানতে চান, শিবানী উড়াও, মোছাঃ মারুফা বেগম, অপরিচিতা রায়, রুবিনা খাতুন, সুমী আক্তার, আরজুমান আরা। তারা বিধাব ভাতা থেকে বঞ্চিত হওয়া, বয়স্ক ভাতা, জন্ম নিবন্ধনসহ সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত, মাতৃকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা,নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে হয়রানির শিকারের সঠিক সময়ে সেবা না পাওয়া এবং সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে কি করনীয়? প্রশ্নের উত্তর দেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান, উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ হাফিজুর ইসলাম ও উপজেলা কৃষি অফিসার আসাদুজ্জামান। তারা জানায় সরকারের বিভিন্ন ধরনের সেবা রয়েছে। শুধু সঠিকভাবে বা নিয়মমাফিক ভাবে কাগজ-পত্র নিয়ে জমা দিতে পারলে সকল সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে এ ব্যাপারে তিনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের কিছু কিছু দূর্বলতা বা অস্বচ্ছতা কথাও তুলে ধরেন। এ ব্যাপারে নারী ক্লাবের সদস্যদের সোচ্চার ও প্রতিবাদী হবে হবে। তাহলেই তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের বিশ্বাস সরকারের বিভিন্ন ধরনের নিরাপদ বলয়ের মাধ্যমে যে সেবা রয়েছে তা প্রদানকারী ও সেবা গ্রহনকারীদের মাঝে সেতুবন্ধন রচনা করতে পারে নারী ক্লাবের নেতৃবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে প্রজেক্ট ম্যানেজার সেলিম রেজা বলেন, সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে নারী ক্লাবের নেতৃবৃন্দের সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। সার্বিক তত্ত¡াবধায়নে ছিলেন পল্লীশ্রী’র এফভিএসএম মাজেদুর রহমান ।
মোঃ হাফিজুর ইসলাম - সমবায় কর্মকর্তা বলেনঃ নারী ক্লাবের সদস্য যারা ১৮ বছরের উর্দ্ধে আছেন তারা সমিতি তৈরী করে সঞ্চয়ের মাধ্যমে টাকা জমাতে পারেন । একত্রিত হয়ে মুষ্টির চাল জমা করে তা আপনারা বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকা সঞ্চয়ের ব্যাবস্থাপনায় ব্যাবহার করতে পারেন । এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে মোবাইল সার্ভিসিং সহ বিভন্ন প্রশিক্ষন দেয়া হয়ে থাকে । নারী ক্লাবের সদস্যরা সেবা নিতে আসলে দাপ্তরিক সকল ধরনের সেবা সহজেই পেয়ে যাবে প্রতিষ্ঠান থেকে ।